ভৌগোলিক অবস্থান
শ্রীপুর উপজেলা গাজীপুর জেলার সর্বোত্তরে অবস্থিত। উত্তরে গফরগাঁও ও ভালুকা উপজেলা পুর্বে কাপাসিয়া ও কালিগঞ্জ উপজেলা,দক্ষিনে গাজীপুর সদর ও পশ্চিমে কালিয়াকৈর ও টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলা অবস্থিত। ২৩.৪৩ উত্তর অক্ষাংশ ৯০.২৪পূর্ব দ্রাঘিমাংশ অবস্থিত। আয়তন ১৭৮.১৯ বর্গমাইল।
উপজেলার নামকরণ
শ্রীপুরের ঐতিহাসিক পটভূমি যুগে বিভিন্ন রাজবংশের শাসনের ক্রমঃ বিবর্তনের বৈশিষ্ট্যে অলংকৃত সম্ভবতঃ মহারাজাধিরাজ শশাংকের রাজত্বকালে ইহা প্রাগ জ্যেতিষপুর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইতিহাস বেত্তাগণ অনুমান করেন যে, আনই ভৌমিক বলিয়া প্রাগ জ্যেতিষপুর রাজ্যের সমস্ত রাজা ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ভালুকা-গফরগাঁও ও শ্রীপুরের উত্তারাঞ্চলের রাজা ছিলেন। তাহার রাজবাড়ি ছিল ফুলবাড়িয়া বানার নদীর তীরে। মহারাজা ধীরাজ শশাংকের পর বাংলাদেশে গোলাপ নামে এক রাজা, বৌদ্ধ রাজত্বের স্থাপন করেন। ঐ সময় হতে সম্ভবতঃ এই অঞ্চলে বৌদ্ধ রাজত্বের সৃষ্টি হয়। ১০৫০ সালে বিখ্যাত সুফী সাধক শাহ সুলতান কমরুদ্দিন রুমী যখন নেত্রকোনায় মদনপুরে আসেন, প্রাগ জ্যেতিষপুর রাজ্যের সমস্ত রাজা মদন গারোর রাজ্যে আস্তানা স্থাপন করেন। এর প্রায় অর্ধ শতাব্দীর পর ভাওয়ালের সুফী সাধক শাহ কারফরমা শাহ ইসলামের মহান বাণী নিয়ে ভাওয়ালে আসেন। তখনও শ্রীপুর এলাকা দুইটি ছোট বৌদ্ধ রাজত্বে বিভক্ত ছিল। একজন ইন্দ্রপাল রাজধানী ইন্দ্রপুরে যা আধুনিক মাওনার নিকট অবস্থিত । অপরজন ভবপাল । তার রাজধানী ছিল রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাইশুখানিয়া গ্রামে। সম্ভবত: অষ্টম শতাব্দীতে রাজা ইন্দ্রপাল ইন্দ্রপুর ও তার আশেপাশের এলাকা নিয়ে স্বাধীন রাজ্য গঠন করেন। এটা আদিত্যপালের দীঘি নামে পরিচিত। বর্তমান প্রচলিত নাম ওয়াদ্দা দীঘি। তৎপুত্র রাজা শ্রীপালের নাম অনুসারে শ্রীপুর মৌজার নামকরণ করা হয়। মৌজার নাম অনুসরণ করে শ্রীপুর উপজেলার নামকরণ করা হয়। অভিধানিক অর্থে শ্রী-অর্থ সৌর্ন্দয্য,পুর -অর্থ নগরী অর্থাৎ সৌন্দর্য্যের নগরী।
১৮৮০ সালে কাপাসিয়া উপজেলা স্থাপন করার পর শ্রীপুর অঞ্চল কাপাসিয়ার অন্তর্ভূক্ত হয় । ১৯১৪ সালের মে মাসে সুষ্ঠু শাসন কায়েমের জন্য শ্রীপুরে একটি ছোট পুলিশ ইনভেষ্টিগেশন স্টেশন খোলা হয়। ১৯৩৩ সালে ৭ই অক্টোবর এখানে একটি পুর্নাংগ থানা স্থাপন করা হয়। ১৯৮৩ সালে উপজেলার সৃষ্টি হয়।
আয়তন - ৪৬৫.২৫ বর্গ কিলোমিটার জনসংখ্যা - ৪৯২৭৯২জন, ঘনত্ব - ১০৬০ জন ( প্রতি বর্গ কি: মি:) নির্বাচনী এলাকা - ১৯৬ গাজীপুর-৩, ইউনিয়ন - ০৮টি, মৌজা - ৭৯টি, সরকারী হাসপাতাল - ০১টি, স্বাস্থ্য কেন্দ্র /ক্লিনিক - ০৫টি, পোস্ট অফিস - ০৯টি, নদ-নদী - সুতিয়া,শীতলক্ষ্যা ও মাটিকাটা । হাট-বাজার -৩৮টি, ব্যাংক (ক) বাণিজ্যিক-০৯টি (খ) গ্রামীণ-০৯টি
১) পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ২) শ্রীপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ৩)মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ৪) মাওনা জে এম সরকারী প্রাথমকি বিদ্যালয় ৫) কেওয়া তমির উদ্দিন আলীম মাদরাসা ৬)কাউরাইদ কেএন উচ্চ বিদ্যালয় ৭) শ্রীপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ৮) বরমী ডিগ্রী কলেজ ৯)দারুল উলুম কওমী মাদরাসা 10) গাজিপুর উচ্চ বিদ্যালয় 11) বরমি বাজার বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় ১২) বরমি জামিয়া আনওারিয়া মাদ্রাসা, ১৩) ভাংনাহাটি কামিল মাদ্রাসা, ১৪) ধলাদিয়া কলেজ, রাজাবাড়ী
উল্লেখযোগ্য স্থান বা স্থাপনা
১) কর্ণপুর বড়দীঘি, ২) ওয়াদ্দাদীঘি, ৩) কেওয়াবাজার বটগাছ ৪) শীতলক্ষ্যা নদী ৫) বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক ৬) বরমী বাজার ৭) শ্রীমঙ্গল দীঘি। ৮) তুলা উন্নয়ন বোর্ড
শ্রীপুর উপজেলার অবস্থান উত্তরঅক্ষাংশের ২২°২৯' এবং ২৩°৪২' এর মধ্যে ৪৬°৯৬' এবং ৯১°০৫' দ্রাঘিমাংশেরমধ্যে। এ উপজেলার উত্তরে ভালুকাও গফরগাঁওউপজেলা, দক্ষিণাংশেগাজীপুর সদরউপজেলা, পশ্চিমে সখিপুরউপজেলা, পূর্বে গফরগাঁওও গাজীপুর উপজেলা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস