ঐতিহাসিক পটভূমিঃ
গাজীপুরের শাল বন ঐতিহাকিভাভে বায়াল রাজার জমিদারী অংশ হিসেবে খ্যাত ছিল । ১৯৫০ সালের জমিদারী উচ্ছেদ ও প্রজাসত্ব আইন জারীর পর শালবনের ব্যবস্থাপনা বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়। তবে অধিকাংশ চালা জমি শালবন সমৃদ্ধ বিনভুমি বিধায় বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বাইদ জমিসমূহ ব্যক্তিমালিকানাধীন। শালবন ঢাকার অতি নিকটে হওয়ায় দ্রুত শিল্পায়ন, জবরদখর, গো-চারণ ও ভুমিদস্যুতার কারণে শালবনের জীববৈচিত্র্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। শিল্পকারখানা হতে নিঃসরিত বর্জে্র কারণে জীববৈচিত্র্য মারত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বন ও বন্যপ্রানীকে বালবসতেন। ১৯৭৪ সলে তিনি ঢাকার অতি নিকটে প্রাকৃতিক পরিবেশে পর্যটন শিল্প প্রসারের লক্ষ্যে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে চম্পা বন বিশ্রামাগার নির্মাণের নির্দেশনা প্রদান করেন এবং ব্যক্তিগত তহবিল হতে চেক প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে সাপারী পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
অবস্থান ও আয়তনঃ
ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা - ময়মিনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে সাফারী পার্কটির অবস্থান।
সাফারী পার্কের আয়তন ৩৬৯০.০ একর। এর মধ্যে ৫৫০.০ একর ব্যাক্তি মালিকানধীন ভূমি রয়েছে যা সিংহভাগ অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৩৪০০.০ একর এলাকায় প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে এবং ৪০০.০ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন বাইদ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট এলাকা পর্যায়ক্রমিক ভাবে উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। বাঘের বাজারের প্রবেশ পথে বাঘের মডেল সম্বলিত ফটক নির্মাণ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস